সম্পাদকীয়

মোঃ সানোয়ার হোসেন
সম্পাদক



ফাটল, আরও ফাটল


সাভারে রানা প্লাজা ফাটল যে বিপর্যয় ঘটায় তা নজিরবিহীন প্রাণহানি ঘটিয়েছে, যে ক্ষতি পূরণ হবার নয়। সেদিন রানা প্লাজায় ফাটল দেখা দিলেও অর্থ-বিত্ত  ও রানার ক্ষমতার দাপটের কাছে ফাটল চোখে দেখেও চিহ্নিত করার সুযোগ ছিলো না। যারা ভবন নির্মাণের  মূল হিসাব-নিকাশ বুঝেন সেই প্রকৌশলীরা পর্যন্ত, প্রশাসনের কর্মকর্তা পর্যন্ত রানার দাপটের কাছে, লোভের কাছে অন্ধ হয়ে পড়েছিলেন। তাই ফাটল দেখেও বলে ওঠেন, এসব কিছু  না। রানা প্লাজা ধসের পর ফাটল উন্মোচন হয়ে পড়ে। সারা দেশে এখন দালান, বিল্ডিং, সরকারি-বেসরকারি ভবনসমূহে ফাটল চিহ্নিত হতে চোখের পর্দা- স্বচ্ছ  হয়ে ওঠেছে। গত সংখ্যার সাপ্তাহিক কমলগঞ্জ সংবাদ পত্রিকায়ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে বাড়ী ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বছরে একবার অন্তত ঘর-দোয়ার মেরামত করার রেওয়াজ আছে। ঘরের বউ-ঝি’রা ঘর লেপা-মোছার কাজই করেন উৎসব অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে। এ কাজটি  তারা করেন নিবিড় আন্তরিকতার, দায় নিয়ে।
কিন্তু মানুষ বাঁশ, বেত, কাচা মাটির ঘর ছেড়ে এখন রড-সিমেন্ট-ইট এর আবরনে জীবন অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়ে ওঠেছে তখন তার ফাঁক-ফোকরে নানা ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। এই পাকা দালান-বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল প্রকৌশল বিভাগ গড়ে উঠেছে। কসব ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভুল হলে বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনতে পারে। এজন্য রাষ্ট্র তার সরকারি ভবনসমূহ ঠিকঠাক রাখার জন্য রিপিয়ারিং খরচের দায় রাষ্ট্র বহন করে, তার ব্যয় নির্বাহের স্বচ্ছ হিসাব রাখা গেলে যেমন এমন বিপর্যয় এড়ানো যেতো এবং চোখ মেলে দালানের ফাটলও দেখা যেত এবং তা দ্রুতই মেরামত করা যেতো।
ব্যক্তিগত দাপট ও ক্ষমতার কারণে আমাদের চোখ অন্ধ হয়ে পড়ে। রানা প্লাজার ধস আমাদের চোখের পর্দার ছানি কেটে দিয়েছে। আমরা এখন ফাটল চিহ্নিত করতে সর্মথ হবো।


সাভার ট্র্যাজেডি জাতির হৃদপিন্ডে রক্তস্রোত ও বিরোধী দলের হরতাল



ভবন ধ্বস, টিলা ধ্বস, পাহাড় ধ্বস ইত্যাদি ঘটনা দুর্ঘটনার খবর আমরা জেনে অভ্যস্ত হলেও ঢাকার সাভারে হাজার হাজার মানুষ সহ এম গার্মেন্ট ধ্বস এর ঘটনা নজিরবিহীন। বাংলাদেশের ইতিহাসে বুঝি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। বাংলাদেশে পোশাক শিল্প দুনিয়া জোড়া খ্যাতি অর্জন করে যখন বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছে, তখন ‘রানা প্লাজা’ ধ্বস একটি অশনি সংকেত।
পোশাক শিল্পটি মূলত ভিত্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছে এদেশের গরীব নারীর শ্রমে ঘামে। বিনিময়ে তারা যে মজুরী পেয়ে থাকে তাও কিন্তু আহামরি কিছু না। এ শিল্পে তাদের শ্রমে ঘামে লাভের কারণে এ শিল্পের প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এক শ্রেণীর মালিক লাভ ও লোভের কাছে উন্মাদ হয়ে উঠেছেন। আর এই উন্মাদ মালিকের একজন সোহেল রানা। তিনি কোন বিধি নিয়মের তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্ম্মাণ করে গার্মেন্ট কারখানার বিস্তার বাড়ান। দুর্বল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে হাজার হাজার নারী শ্রমিক কাজ করেছে। জানা গেছে, বিল্ডিং এ ফাটল দেখা দিলে শ্রমিকরা কাজ করতে আপত্তি জানালে চাপ দিয়েই তাদের কাজে রানা বাধ্য করেন। পাশাপাশি তার বশংবদ জনৈক নির্বাহী অফিসারও নাকি কাজে সায় দিয়েছেন উৎসাহে। স্থানীয় প্রকৌশলীরাও দায় থেকে মুক্ত নন। 
পরিস্থিতির ভয়াবহতা, নাজুকতায় মুহুর্তেই সমগ্র জাতিকে নাড়া দিয়েছে। এ ঘটনায় দেশের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ  যেভাবে ঘটেছে তাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবিকতার ক্ষেত্রে মানুষ যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেভাবে জীবন বাজি রেখে জীবিত ও মৃত মানুষ উদ্ধারে যে নজির সৃষ্টি করেছে সমসাময়িক পৃথিবীর ইতিহাসে মিলে না। সমগ্র জাতি যে সাভার নামক মোহনায় এক হয়ে উঠেছে।
পরিস্থিতির মোকাবেলায় সরকার বিশেষত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট পদক্ষেপ ও তার প্রশাসনযন্ত্র, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, দমকল বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী, ডাক্তার, সাধারণ দেশপ্রেমিক জনগণ সম্মিলিত যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে তাতে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাকে চিহ্নিত করে মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি বিরোধী দলের এই মুহুর্তে সরকারের ব্যর্থতার দায় এনে গতানুগতিক গাড়ি ভাঙ্গার হরতালে আহবান সাভার ট্র্যাজেডিকে তামাশায় নিয়েছে।
সাভার ট্র্যাজেডির ঘাতক সোহেল রানা সহ যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা বাকী আছে তাদের আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা যাতে দ্বিতীয়বার এরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এমন বিপদের দিনে সমগ্র জাতি যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, তাতে সরকার আরও দশ হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে আমরা মনে করি।


রিকশা ভাড়া নিয়ে আর ঝামেলা নয়



১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কমলগঞ্জ পৌরসভা ১৪ বছর অতিক্রম করছে। সময়ের হিসাবে বেশী না হলেও দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার হিসাবে বয়স একেবারে ফেলনাও নয়। পৌরসভা হিসাবে গঠিত হওয়ার পর এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। পৌরবাসী পৌর নাগরিক হিসাবে নিজেদের গর্ব করার সম্মানিত বোধ করার সুযোগ লাভ করেছে। 
পৌরসবাসী হিসাবে নাগরিকদের বিধিবদ্ধ শৃংখলার একটা বিবেচনা থাকে। আমাদের এই পৌরসভায় বিশেষত রিকশা চলাফেরার  ক্ষেত্রে কোন বিধিনিয়ম মেনে চলা হয় না;  তাতে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পৌরসভার সীমানার ভেতরে রিকশা চলাচলের সাথে একটা নিয়ম মানার, ভাড়ার সুশৃংখলা থাকার বাধ্যবাধকতা থাকা বা মেনে চলা হচ্ছে না, ফলে যাত্রীদের যেমন খুশী ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এতে অনেক ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর হাকাহাকি ঘটে থাকে। 
আমরা মনে করি। পৌর নাগরিক হিসাবে পৌরসভার সীমানার ভেতরে রিকশা চলাচলের ক্ষেত্রে ভাড়ার একটা হিসাব বেঁধে দেওয়া হোক। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।


নববর্ষ : বাঙ্গালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে
হাড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠার তাগিদ দিয়েছে




একটি বছরের বিধায় নতুন বছরের প্রবেশ আমাদের জীবনের নতুন মাত্রা বয়ে আনুুক। প্রচন্ড উদ্যোগ ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে জনজীবনে অস্বস্তি তৈরী করেছে জাতীয় পরিস্থিতি বিশেষত হাজার হাজার শিক্ষাঙ্গণে লক্ষ লক্ষ স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখা হুমকির মুখে পড়েছে। হরতাল নামক দানবীয় শক্তির বেপরোয়া আঘাতে। এইচ.এস.সি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল তান্ডব যেভাবে চেপে বসেছে তাতে জাতি হিসাবে আমাদের মুখ উচুঁ করে তোলাই লজ্জার বিষয় হিসাবে দাড়িয়েছে। পরীায় অংশগ্রহনের জন্য ছাত্র/ছাত্রীরা মানববন্ধন করে রাস্তায় নেমেছে। অভিবাবকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের এ জিজ্ঞাসার জবাব কি হতে পারে। 
প্রতিনিয়তই যখন হরতাল, তখন হরতালের ঘোষনা না এলেও মানুষের মনোজগতে একটা ক্ষত তৈরি করেছে, বুঝি কাল হরতাল, পরশু হরতাল। দায়িত্বহীনতার মাত্রা ভাঙ্গলে এরকম ভাবনার তামাসা জন্ম দিতে পারে। এই মুহুর্তে হরতালের আওয়াজ আসেনি। কিছুটা স্বস্তি। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিবে। অতপরঃ কি হবে অনিশ্চিত। এত অনিশ্চিত জটিল পরিস্থিতির আবর্তেও মানুষ নিজেকে মানিয়ে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ তা দেশ বিদেশে এখন খুলাশা হয়ে পড়েছে।
এবার নববর্ষ বাঙ্গালী জাতিকে আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উটার বার্তা দিয়েছে। নববর্ষের চেতনা অসম্প্রদায়িক, মানবিক চেয়ারা এবার আমাদের চোখ ফেরাতে তাগিদ দিয়েছে। শর্পনখা ক্রোধ যখন ঘরে বাইরে ওৎ পেতে আছে তখন নববর্ষ ডাক দিয়েছে। 
আমরা কান পেতে আগামীর প্রত্যাশায়।


শুভ নববর্ষ-১৪২০





ঝরা পাতার মধ্যে নব সাজে বাংলা ও বাঙ্গালীর জীবনে নববর্ষ সমাগত। শতশত বছর আগে থেকে বাঙ্গালী জনগোষ্টীর জীবনে নববর্ষ জীবনযাত্রার অংশ হয়ে আছে। সারা বছরের হিসাব নিকাশ মেলানোর মধ্যে দিয়ে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ বরন করে নেওয়া হয় -যাতে পরবর্তী সারা বছর সুন্দরভাবে কাটে। ব্যবসায়ীরা জমা খরচের খাতার হিসাব মিলাতে গিয়ে ‘হালখাতা’ অনুষ্ঠান পালন করেন। গ্রামে-গঞ্জে শুরু হয় বৈশাখী মেলা, বাঙ্গলীর ঐতিহ্যবাহী খাবার- বাঙ্গলী কোরমা পোলাও খেয়ে অভ্যস্থ হয়ে উঠলেও ভুলে যেতে চায় না প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তাভাত, চাতনি।
নববর্ষ তাই বাঙ্গালীর নাড়ির একটা দিন। তাকে কেন্দ্র করে বাঙ্গালী আত্ম-পরিচয়ের সুযোগ পায়। বৈশাখ তাই বরাবরই একটা অসাম্প্রদায়িক উৎসব। যার মধ্যদিয়ে সম্প্রীতি ও প্রাণের মিলন ঘটানো যায়। কৃষিভিত্তিক বাঙ্গালীর জীবন থেকে নববর্ষ এর উৎসারন ঘটেছে বলে বাংলার আবহাওয়া, মাটি ও মানুষকে ধারন করইে নববর্ষ-মাত্রা পেয়েছে। 
বাঙ্গালীর যত দিবস আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিচিত্র ও অসাম্প্রদায়িক দিন হিসাবে নববর্ষ চিহ্নিত হয়ে আছে। আমাদের সুষম জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে নববর্ষ প্রেরণাদায়ক শক্তি হিসেবে পথ দেখাবে।
বাংলা নববর্ষ আমাদের উৎস এর ঠিকানাও।


হরতাল এখন দানবীয়






আন্দোলন সংগ্রাম ধর্মঘট হরতাল ইত্যাদির ভেতর দিয়ে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের হাত থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রে বাঙালির কতগুলো সংগ্রাম আন্দোলন ঘটেছে তবে মূল পর্ব ছিলো- ১৯৫২, ১৯৪৫, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধ। এসব আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহনে ত্যাগ তিতিক্ষা সম্মানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় মানুষ বরন করেছে। 
আন্দোলন হরতাল শাহবাগের একটা যৌক্তিক চরিত্র ও এতে দৃশ্যত ছিলো ও ছিল তার মর্মার্থ যাতে মানুষ এসব আন্দোলন হরতালে প্রস্তুতি নিয়েছে। হরতাল আহ্বান নিয়মিত কোন বিষয় ছিলো না- তাকে মানুষের প্রয়োজনের বিবেচনায় নিতে লিফলেট, পোস্টার, সভা, সমাবেশ সহ অনেক প্রচারনার পর তবেই হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। 
বাংলাদেশ অভ্যুদয়ে আন্দোলন সংগ্রামের একটা সুনিল দিন থাকলেও স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম হয়ে উঠেছে, জনস্বার্থ নয় জনগনের জানমাল নিরাপত্তা নয়; জনগনের জানমাল নিরাপত্তার বিনাশ ঘটানো। 
কেন হরতাল তা জানা নয়, তা শুনামাত্রই মানুষের মনে মৃত্যুরূপী ভয়াবহতার আতংক সৃষ্টি হয়, তার হাত থেকে কিভাবে নিস্তার পাবে। হরতাল এখন একটা মানবীয় নয়- দানবীয় চরিত্র নিয়েছে। এই দানব মানুষের প্রাণ-হরণের জন্যই, মানুষের বিষয় সস্পদ, রাষ্ট্রের বিষয় সম্পদ পর্যন্ত সবকিছু বিনাশই তার কাজ। 
হরতাল এখন উতাল, ভয়তালই নয়, এখন একটা নাশকতাতালে রূপ নিয়েছে। মানুষ হরতাল নৈরাজ্য, নাশকতা থেকে মুক্তি চায়।


শিক্ষার্থীরা পাঠদানে বঞ্চিত: পরিস্থিতি উদ্বেগজনক





সরকারের শিক্ষার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারনে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ায় আগ্রহ বেড়েছে। অভিভাবকরাও সন্তানদের পড়ালেখার প্রতি অনেক মনোযোগি হয়ে উঠেছেন। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়াতে সমাপনি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়মিত চালু হয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে দেখা গেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহন হুমকির মুখে পড়েছে। সাপ্তাহিক কমলগঞ্জ সংবাদ পত্রিকার ৩৯তম সংখ্যায় হিসাব দেখানো হয়েছে ৩৬৫ দিনের মধ্যে মাত্র ৮৫ দিন ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে পাঠ গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। বিষয়টি ভেবে দেখার মত। এছাড়া হরতাল সহ নানা দুর্যোগ আছে। আবার প্রচলিত আছে অফ ডে ও অন ডে এর অলিখিত নিয়ম। শিক্ষা প্রতিষ্টানে এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। দ্রুত সুরাহায় সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।


বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিশুদের সুযোগ দিতে হবে





গতকাল ১৭ মার্চ রোববার ছিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর মতো প্রত্যেকটি শিশুকে ভোগ নয়, ত্যাগের আদর্শে জীবন গঠন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিশুদের সুযোগ দিতে হবে। শিশুরাই আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব  দেবে। অতীতে শিশুদের বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শিশুদের জানতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে আগ্রহী। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ঢাকার শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন। রাত জেগে শিশুদের সঠিক ইতিহাস জানার আগ্রহ। সচেতন অভিভাবকদেরকেও বঙ্গবন্ধুর সঠিক আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সমাজে এখনও অনেক শিশু বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদেরকে অধিকার বাস্তবায়নে শুধু আইনই নয় রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তরিকতার সাথে সরকারকে কাজ করতে হবে। তাহলেই শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘ শিশু সনদ বাস্তবায়নের ১০ বছর আগেই যে আইন করেছিলেন তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।


কমলগঞ্জে গ্যাস লাইন উদ্বোধন করলেন
চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ






এই উপজেলার বিরাট অংশের মানুষ উপজেলা সদরের কাছাকাছি অবস্থান না করাতে জ্বালানি সংকটসহ গ্যাস এর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। অনেকদিন থেকে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য গ্যাস সংযোগ এর দাবী করে আসছিলেন। 
তাদের এসব দাবীর প্রেক্ষিতে গত ১ মার্চ তারিখ চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ উপজেলার গোপালনগরে গ্যাস লাইন উদ্বোধন করলেন। তার এই শুভ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার মানুষ উপকৃত হওয়ার সুযোগ ঘটবে। গ্যাস এর সুলভ ব্যবহারের মধ্যদিয়ে দেশের জ্বালানি সম্পদ যেমন স্থান পাবে, তেমনি মানুষ পরিবেশ দূষনের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। গ্যাস  ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে এসময়ও কষ্ট লাগব হবে। আয় রোজগার এর ক্ষেত্রে পরিবার সমূহে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। 
নাগরিকের গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ যত বাড়বে ততই জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। আমাদের বিদ্যুৎ-গ্যাস এর অধিকতর ব্যবহার সামর্থ্যের ভেতর দিয়ে কাঙ্খিত সমাজ গড়ার পথ সুগম হবে।


রিস্থিতি উদ্বেগজনক : ন্যায় ও সত্যের পথে হাঁটতে হবে

বলা চলে দেশ স্বাধীনের পর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন দেশবাসী পড়েনি। ৪২ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভে দেশের বৃহত্তরো তরুণ সমাজ যুদ্ধাপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ বিচারের দাবীতে যখন জেগে ওঠেছে, তখনই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি দানবের মতো হয়ে ওঠেছে। মানুষের জানমালসহ নিরাপত্তা হুমকীর সম্মুখীন। স্বাধীনতার মূলধারা রক্ষা দেশজাতির নৈতিক দ্বায়িত্ব হলে তাকে কিছুতেই মেনে নিতে না পেরে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি চোরাগুপ্তা সন্ত্রাসী হামলায় দেশের নিরীহ ও প্রতিভাবানদের জীবন বিনষ্ট হচ্ছে। পবিত্র ধর্মকে ও স্বীয় কায়েমী স্বার্থ আদায় করতে গিয়ে অন্ধ কুসংস্কারের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এসব অপপ্রচারেও আমাদের ঈমান আকিদার উপর আঘাত আসছে।
বিষয়টি জাতীয় হলেও আমরা জাতীয় পরিস্থিতির অংশ। আমাদের দেশপ্রেমিক সকল মানুষকে যুক্তি বুদ্ধি বিবেক সজাগ সতর্ক রেখে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব জানমাল নিরাপত্তায় সংগঠিত অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করতে হবে।

চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ আমন্ত্রণমূলক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পর্দা নামল

চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি আমন্ত্রণমূলক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৩ এর পর্দা নামল সাফল্যের দিগন্ত বিস্তৃত মাত্রা নিয়ে। প্রথমত শুধু কমলগঞ্জ উপজেলার এই খেলাটি শুরু হয় ২০১২ সালে কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে। ১১টি দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে উপজেলার ৫৪ টি কৌণিক স্থানে খেলা ছড়িয়ে তার সমাপনী ঘটে হাজার হাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে। এই খেলার সুশৃংখল নিবিড় দর্শক অবস্থান শুরু ও শেষে জমকালো নান্দনিকতার মাত্রা জাতীয় এই খেলার বিস্তৃতি ও তাগিদ থেকে এ বছর কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল ২টি উপজেলায় একযোগে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। 
দেশের বিভিন্ন স্থানের ১৬টি দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে খেলাটি উপভোগ্য হয়। আমরা খেলাধূলা নিয়ে নানা ঝামেলার খবর শুনে থাকি কিন্তু এই খেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ২টি উপজেলাতেই ঘটেছে, কিন্তু কোথাও সামান্যতর বিশৃংখলা ঘটেনি। ব্যক্তি চিফ হুইপ রিবাট রাজনীতির অঙ্গনের মানুষ হলেও এই খেলাটি হয়ে উঠেছে সকল মানুষের। এখানেই এই খেলার বিশালত্বের মাত্রা বহন করছে। 
আমরা মনেকরি, চিফ হুইপ আমন্ত্রনমূলক গোল্ডকাপ যে গুনে মানে অভিন্ন আবেদনের মাত্রা বহন করছে, তাকে সমগ্র জেলায়ই ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এই খেলার ভেতর দিয়ে এ জেলার মানুষের মধ্যে নিবিড় ঐক্য সম্প্রতি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন উঠবে দৃঢ়ভাবে। 

নতুন প্রজন্মের এ আন্দোলন ভিন্ন মাত্রার

সাম্প্রতিক বিশ্বে নানা ঘটনায় যুবকদের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ বিদ্রোহের ঘটনা ঘটছে, তা জানি। মিশরের তাহারির স্কোয়ার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পর্যন্ত এরূপ ঘটনা ঘটছে। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শাহবাগ চত্বরে নতুন প্রজন্মের নজজোয়ার তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে নিয়ে সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছে। প্রথমে এই আন্দোলন ঢাকাকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হলেও তার মাত্রা পুরো বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। মানুষ এই আন্দোলনকে বুকে টেনে রাস্তায় নেমে এসেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে শরীক হয়েছে। অহিংস এমন চেতনাশ্রয়ী আন্দোলন ১৫ দিনে পড়তে যাচ্ছে। কিন্তু তাতে তার জোর কমছে না। আন্দোলনে নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হয়ে সমগ্র জাতিসত্তাকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।  এই আন্দোলন কোন বিশেষ নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত না হলেও লক্ষ ভেদী। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহ নিজেদের রাজনীতির হিসাব নিকাশও বুঝে নিতে পারছে। যারা বিপরীত স্রোতে চলতে চাইছে, তাদেরও দশদিক ভেবে নিতে হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীর খোলসে পরিচালিত শক্তিসমূহ এখন চিহ্নিত হয়ে পড়েছে। নতুন প্রজন্মের এই আন্দোলন ৪২ বছরের জমে থাকা জঞ্জাল মুক্ত করবে। নতুন প্রজন্মের এই আন্দোলন এখন সমগ্র জাতির আশা ভরসার হৃদযন্ত্র হয়ে ওঠেছে। তাদের অর্জিত সম্ভাবনার মধ্যে নবীন প্রবীন সকল একীভূত হয়ে ওঠছেন। সকল মানুষ যেন স্বপ্ন দেখছেন অসুর শক্তির বিনাশের ভেতর দিয়ে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

৪২ বছর পর নতুন প্রজন্মের নবজাগরণ : জাতি তাকিয়ে আছে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায়ের দিকে

দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থি মজ্জায় একটা রণ বাঙালি জাতিকে অহর্নিস ক্ষত বিক্ষত করে আসছিলো। স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেটে ছেটে মূলধারা থেকে ক্রমশ দেশকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস চলে, সামরিক স্বৈরাচারের হিংস্র থাবায়। দেশ পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করার হীন চেষ্টা চলে। নতুন প্রজন্মরা যাতে মূল দেশটাকে চিনতে না পারে তার সকল আয়োজন করে তুলে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর একটা অংশ হচ্ছে জামাত শিবির; গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে তালেবানী কায়দায় খুন জখম, জ্বালাও পোড়াও কর্মকান্ডের সীমা  ছড়িয়ে যেতে থাকে। বর্তমান সরকার দায়িত্বের অংশ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষন, খুন ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত হায়নাদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসেন, তখনই এই বিচারকে বানচাল করার লক্ষ্যে জামাত শিবির  নজিরবিহীন তান্ডব শুরু করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে শাহবাগ এলাকায় নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদী আওয়াজ আসে। ৫ ফেব্র“য়ারি শুরু হওয়া নবতর চেতনার এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় নেমে আসে তাদের রুখতে। ক্রমশ তাদের সংগঠিত আওয়াজ মহাসাগরের  ঢেউয়ের মতো সমগ্র বাংলাদেশে নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে। এই তরুণদের সঙ্গে সমগ্র জাতির কন্ঠ অভিন্ন হয়ে উঠে। ৪২ বছর পর যেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে ফিরে পাওয়া। তারা গর্জে উঠেছে, ধুয়ে মুছে বাংলাদেশের জঞ্জাল মুক্ত করতে। তরুণ প্রজন্মেরা যেন জাতির দিশারী হয়ে উঠেছে। আমরাও এ মনে করি নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পাওয়া। তাদের শুধু অভিবাদন নয়, তাদের পূর্বের প্রজন্মরাও তাদের কাছে ঋণী। আমরা তাকিয়ে আছি ’৭২ এর বাংলাদেশ এর দিকে।

কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর কর্মশালা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড: মোস্তাফিজুর রহমান খানের আয়োজনে ৩ ও ৪ ফেব্র“য়ারি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে উপজেলার ৩০ টি নৃতাত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালার উদ্ভোধন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি। নান্দনিক এ উপজেলায় এ ধরণের কর্মশালা অনুষ্টান বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। ঢাকা নয়, কোন শহর  নয়,  এ উপজেলায় এক বিচিত্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। যা বাংলাদেশের কোথাও নেই। নৃগোষ্ঠীর তালিকাভূক্ত করে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলেও এই উপজেলায় ৯০ টির মতো ক্ষুদ্র জাতির হিসাব বা সন্ধান তারা পেয়েছেন। একটি উপজেলায় এরূপ জনগোষ্ঠীর বসবাস সন্ধান সম্ভবত দ্বিতীয়টি নেই। বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধান ও বিবেচনায় শব্দকর জনগোষ্ঠীও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সংস্কৃতির এমন ভান্ডার কমলগঞ্জ উপজেলায় পড়ে আছে তাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বর্ধিত হলে এই উপজেলা দেশের ভেতরে একটা দৃষ্টিনন্দন উপজেলা হিসাবে বিবেচিত হয়ে উঠবে আমরা মনে করি। বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ধর্ষণ একটা ব্যাধিঃ সামাজিক ও আইনী ব্যবস্থা কঠোর হওয়া প্রয়োজন

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন গ্রাম ও শহরের নারীরা।  বেশীর ভাগ থেকে এরা হচ্ছেন গৃহ পরিচিকা থেকে স্কুল কলেজের ছাত্রীরাই এ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধর্ষকরা কেবল চিহ্নিত, অচিহ্নিত, মস্তান, গুন্ডরাই নন, শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিতরা পর্যন্ত এ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের নাম যখন ধর্ষনকারী হিসাবে এবং অভিযোগ হিসাবে এবং অভিযোগে তিনি গ্রেফতারও হন,তখন শংকিত হয়ে উঠতেই হয়। আামদের সমাজের মূল্যবোধ কতখানি নিচে গেলে এরুপ ঘটনা ঘটতে  পারে, তা অনুমান করে নিতে হয়। 
নারী নির্যাতন ধর্ষন, শিশু পাচার ইত্যাকার ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বেহিসেবী ভোগ, লোভাতুর প্রবণতা  সামাজিক জীবনের স্বাভাবিকতায় অপ্রয়োজনীয় অসম্মতি তৈরী করেছে, তা থেকে বিরত থাকতে না পারলেও তার আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জীবনবোধকে ধ্বংস করে তুলবে।